প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে অধিকার এর বিবৃতি
ঢাকা, ১০ অক্টোবর ২০২২: ১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর মানবাধিকার কর্মীদের সংগঠন অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। অধিকার ২৮ বছরব্যাপী মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তার পাশে থাকা দেশী ও বিদেশী সমস্ত মানবাধিকার কর্মী এবং শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে। এছাড়া যাঁরা অধিকার এর সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করার পাশাপাশি অধিকার এর ওপর সরকারের নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার থেকেছেন অধিকার তাঁদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছে।
অধিকার এর প্রতিষ্ঠার মূল লক্ষ্যই ছিল রাষ্ট্রের হাতে সংঘটিত সমস্ত মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো এবং রাষ্ট্রকে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা থেকে বিরত রাখার বিষয়ে জনগণকে সোচ্চার করা। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই অধিকার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নাগরিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার বাস্তবায়নের সংগ্রামে নিয়োজিত থেকেছে।
মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে যেয়ে বিভিন্ন সরকারের আমলে অধিকার হয়রানি ও নিপীড়নের শিকার হয়েছে। কিন্তু বর্তমান সরকার মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হওয়ায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে সোচ্চার থাকায় অধিকার ও অন্যান্য মানবাধিকার কর্মীদের ওপর নিপীড়ন চালাচ্ছে। বর্তমান সরকার অধিকার এর নিবন্ধনও বাতিল করে দিয়েছে। জাতিসংঘের হিউম্যান রাইটস মেকানিজমের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে কাজ করার কারণে অধিকার সরকারের রোষাণলে পড়েছে এবং অধিকার কে গোয়েন্দা নজরদারির মধ্যে রেখেছে। ২০১৩ সালে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে অধিকার প্রতিবেদন প্রকাশ করায় অধিকার এর সেক্রেটারি এবং পরিচালককে নির্বতনমূলক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ২০০৬ (সংশোধনী ২০০৯) এ অভিযুক্ত করা হয়। বর্তমানে মামলাটি ঢাকা সাইবার ট্রাইবুনালে বিচারাধীন রয়েছে।
অধিকার মনে করে, বাংলাদেশের মানুষ গণতান্ত্রিক অধিকার, ন্যায় বিচার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের পাশাপাশি দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে তাঁদের লড়াই অব্যাহত রাখবে।
সংহতি প্রকাশে
অধিকার টিম
এখানে ক্লিক করলে সম্পূর্ণ প্রতিবেদন বাংলায় দেখতে পাবেন।
This post was originally published on News – Odhikar.